সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: গলাচিপার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার স¦াভাবিক জোয়ারের প্রভাবে নদীর পানির স্তর দুই-তিন ফুট বেড়েছে। এ কারনে উপজেলার পানপট্টি বেড়িবাধ এলাকায় নদী ভাঙ্গন আগের যে কোন সময়ের তুলনায় তীব্রতর রূপ নিয়েছে। বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে জানমালে ক্ষতির আশঙ্কা করছে গ্রামবাসীদের। এদিকে ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের পানপট্টি লঞ্চঘাট এলাকার বেড়িবাঁধটি।
প্রতি মাসে পূর্ণিমা ও অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধের প্রায় চাপে ভেঙে যেতে পারে এ অংশটি। এতে জলোচ্ছ্বাসে পানপট্টিসহ গলাচিপা পৌর এলাকায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে অনেক। এর আগেও বাঁধটি একাধিকবার মেরামত করা হলেও ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রাণহানিসহ ফলসহানির শঙ্কায় রয়েছে এলাকার মানুষ। এলাকাবাসী জানায়, গলাচিপা উপজেলা বেশ কয়েকটি বড় নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে। আগুনমুখা, রামনাবাদ, দারছিঁড়া, ডিক্রি, তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ। নদীর সর্বনাশা ভাঙন গলাচিপাবাসীর চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। নদীর করালগ্রামে কিছুই বাদ যাচ্ছে না। ফলে কোটি কোটি টাকার সহায়-সম্পদ নদীগর্বে হারিয়ে গেছে।
গলাচিপার পানপট্টি এলাকার কুদ্দুস মেলকার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) একাধিকবার পানপট্টির ভাঙনকবলিত অংশে মেরামত করেছে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেণ, গলাচিপার পানপট্টির এই পোল্ডারটিতে বড় ধরনের প্রকেক্টের প্রয়োজন আছে। আমরা ভাঙনকবলিত এ এলাকাটিকে অবজারভেশনে রেখেছি।